বান্দারবান জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। বান্দরবান জেলার মোট আয়তন সংখ্যা ৪৪৭৯.০২ বর্গ কিলোমিটার।
দর্শনীয় স্থান
বান্দরবান জেলার দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে
চিংড়ি ঝর্ণা,নীলাচল, নীলগিরি,
কিভাবে যাবেন
প্রথমে আপনাকে বান্দরবান শহরে যেতে হবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন বান্দরবানের উদ্দেশ্যে কয়েকটি পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ছেড়ে যায়। যেমন শ্যামলি, হানিফ, ইউনিক, এস আলম, ডলফিন- এর যেকোনো একটি বাসে চড়ে আপনি বান্দরবানের যেতে পারেন। রাত ১০ টায় অথবা সাড়ে ১১টার দিকে কলাবাগান, সায়েদাবাদ বা ফকিরাপুল থেকে এসব বাস বান্দরবানের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যেতে পারেন। বদ্দারহাট থেকে বান্দারবানের উদ্দেশে পূবালী ও পূর্বানী পরিবহনের বাস যায়।
আপনি চাইলে আমাদের অফিসিইয়াল ট্রান্সপোর্ট সাইটে গেয়ে ঢাকা টু বান্দরবান এর আসা যাওয়া গাড়ি ও বাড়া সম্পর্কে যেনে নিতে পারেন।
চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। উপজেলার সংখ্যানুসারে চাঁদপুর বাংলাদেশের একটি শ্রেণীভুক্ত জেলা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি’ নামে ডাকা হয়।
ইলিশ কোথায় খাবেনঃ
চাঁদপুর নেমে রিকশা করে চাঁদপুর বড় ষ্টেশন এবং সেখান থেকে ট্রলার অথবা নৌকায় ৩০ মিনিটের মধ্যে চলে যাবেন রাজরাজেশ্বর চরে। এই চরের খুব কাছেই মেঘনা নদী, পদ্মা আর ডাকাতিয়া নদীর মোহনা কোড়ালিয়ার মুখে মিলছে। ঘাট থেকে ৫ মিনিট হাটলেই মনু মিয়ার হোটেল। কাছাকাছি গেলেই ইলিশের গন্ধে মাতোয়ারা হবার আশঙ্কা আছে। শুধু ইলিশ মাছের ভাজি কিংবা রান্না ইলিশ নয় আপনি সেখানে ইলিশের ডিমও খেতে পারবেন আর ইলিশপুরের (ইলশাহাট) ইলিশ মাছ কেনার জন্য সন্ধ্যা এবং খুব ভোর বেলায় গেলেই ভালো।
চাঁদপুর যাওয়ার উপায়ঃ
ঢাকা থেকে লঞ্চে চাঁদপুর যেতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। দিনে দিনেও ঢাকা থেকে চাঁদপুর বেড়িয়ে আসা যায়। ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে সারা দিনই চাঁদপুর এর বাস ছাড়ে।
চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। বন্দরনগরী নামে পরিচিত শহর, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। ঢাকার পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ শহর হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দর ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি এশিয়ায় ৭ম এবং বিশ্বের ১০ম দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহর।
আয়তন:
চট্টগ্রাম জেলার মোট আয়তন ৫,২৮২.৯২ বর্গ কিলোমিটার (১,৩০৫,৪৩৮ একর)। আয়তনের দিক থেকে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা।
দর্শনীয় স্থান:
১. পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত,
২. ফয়’স লেক,
৩. চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা,
৪. জাম্বুরী পার্ক,
৫. বাটালি হিল,
৬. বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক (সীতাকুন্ড),
৭. চন্দ্রনাথ পাহাড় (সীতাকুন্ড),
৮. বাঁশখালী ইকোপার্ক,
৯. বাঁশখালী খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত,
১০. বাঁশখালী চা বাগান,
১১. মহামায়া লেক,
১২. খৈইয়াছরা ঝরনা (মিরসরাই),
১৩. বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত,
১৪. গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত(সীতাকুণ্ড)।
১৫. বাটারফ্লাই পার্ক
১৬. হিল ভিউ পার্ক এন্ড ক্যাফে,ভাটিয়ারী
১৭. হালিশহর সমুদ্র সৈকত
কুমিল্লা বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব প্রান্তে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত একটি মহানগর। এটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর পর বাংলাদেশের ৭ম বৃহত্তম শহর। এটির মেট্রোপলিটন এলাকার আয়তন ৫৩.৮৪ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ২৩ লাখ এটি চট্টগ্রাম বিভাগে অবস্থিত কুমিল্লা জেলার প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু।
পর্যটন
কুমিল্লাতে বহুসংখ্যক পর্যটন আকর্ষন রয়েছে। কুমিল্লার লালমাই ময়নামতি পাহাড়ে একটি সমৃদ্ধ প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন রয়েছে। এখানে রয়েছে লালমাই পাহাড়, রূপসাগর পার্ক, ব্লু ওয়াটার শালবন বিহার, ম্যাজিক প্যারাডিইস, ধর্মসাগর পার্ক, কুটিলা মুড়া, চন্দ্রমুড়া, রূপবন মুড়া, রাণীর বাংলার পাহাড়, আনন্দ বাজার প্রাসাদ, ভোজ রাজদের প্রাসাদ, চন্ডীমুড়া প্রভৃতি। এসব বিহার, মুড়া ও প্রাসাদ থেকে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে যা ময়নামতি জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে। ময়নামতি একটি বিখ্যাত বৌদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিক এলাকা। ময়নামতি জাদুঘরটি একটি অন্যতম পর্যটন আকর্ষন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ১৯২১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ভারতের নেতা মহাত্মা গান্ধী কুমিল্লায় এসেছিলেন। কুমিল্লাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিহত বিভিন্ন দেশের সৈন্যদের কবর ও ওয়ার সেমেট্রি রয়েছে। বতর্মানে রাজশে পুর ইকোপার্ক এবং তদসংলগ্ন বিরাহিম পুরের সীমান্তবর্তী শাল বন পর্যটন স্পট হিসেবে ব্যপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর, মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র। এটি চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত, যা ১২২ কি.মি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য বন্দর এবং সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। একসময় কক্সবাজার পানোয়া নামেও পরিচিত ছিল যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হলুদ ফুল। এর আরো একটি প্রাচীন নাম হচ্ছে পালঙ্কি।
পর্যটন আকর্ষণ:
পর্যটন শিল্পকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি উদ্যোগে নির্মিত অনেক হোটেল, বাংলাদেশ পর্যটন কেন্দ্র নির্মিত মোটেল ছাড়াও সৈকতের নিকটেই বিশটি পাঁচতারা হোটেল রয়েছে। এছাড়া এখানে পর্যটকদের জন্য গড়ে উঠেছে ঝিনুক মার্কেট। সীমান্তপথে মিয়ানমার (পূর্ব নাম - বার্মা), থাইল্যান্ড, চীন প্রভৃতি দেশ থেকে আসা বাহারি জিনিসপত্র নিয়ে গড়ে উঠেছে বার্মিজ মার্কেট।এখানে রয়েছে দেশের একমাত্র ফিস একুরিয়াম । আরো রয়েছে প্যারাসেলিং,ওয়াটার বাইকিং,বিচ বাইকিং,কক্স কার্নিভাল সার্কাস শো,দরিয়া নগর ইকোপার্ক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিমির্ত অসংখ্য স্থাপত্য, ফিউচার পার্ক,শিশুপার্ক,এবং অসংখ্য ফোটোসুট স্পট।এখানে আরো আছে টেকনাফ জিওলজিক্যাল পার্ক।এখানে উপভোগের জন্য রয়েছে নাইট বিচ কনসার্ট ।সমুদ্র সৈকতকে লাইটিং এর মাধ্যমে আলোকিত করার ফলে এখানে রাতের বেলায় সমুদ্র উপভোগের সুযোগও রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি পার্বত্য জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে খাগড়াছড়ি বাংলাদেশের একটি শ্রেণীভুক্ত জেলা।
রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ২৭০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ১১১ কিলোমিটার। এ জেলার পূর্বে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে রাঙ্গামাটি জেলা ও চট্টগ্রাম জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলা ও ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ এবং উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থান মধ্যে খাগড়াছড়ি একটি অন্যতম স্থান বলা যায়। এখানে রয়েছে ঝর্ণা, গুহা এবং প্রধর্শনীয় অনেক পাহার।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা থেকে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ ও অন্যান্য পরিবহনের বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫২০ টাকা।
রাঙ্গামাটি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি একটি বাংলাদেশের পার্বত্য ও
বৃৃৃহত্তম জেলা।রাঙ্গামাটি জেলার মোট আয়তন ৬১১৬.১৩ বর্গ কিলোমিটার।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
রাঙ্গামাটি জেলা ১০টি উপজেলা, ১২টি থানা, ২টি পৌরসভা, ৫০টি ইউনিয়ন, ১৫৯টি মৌজা, ১৩৪৭টি গ্রাম ও ১টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
এখানে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে দিয়ে রয়েছে অনেক গুলো গুরুত্বহপূর্ণ দর্শনীয় স্থান।