ম্যাজিক প্যারাডাইস
ম্যাজিক প্যারাডাইস বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিনোদন পার্ক । কুমিল্লার কোটবাড়ি শালমানপুর, কোটবাড়িতে অবস্থিত ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক । কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 500 মিটার দূরে ।
ম্যাজিক প্যারাডাইস হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম পারিবারিক বিনোদন পার্ক, যা প্রতিদিন ব্যাপক জনসমাগম আকর্ষণ করছে । এই পার্কটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে একটি সম্পূর্ণ পারিবারিক দিনের বিনোদন এবং রাইডগুলি সাবধানে বাছাই করা হয়েছে যাতে পরিবারের সবাই ভয় না পেয়ে যাত্রা করতে পারে । ওয়াটার প্যারাডাইস পার্ক অনেক রাইড এবং আকর্ষণ নিয়ে গঠিত: ওয়েভ পুল, ওয়েভ রানার, কার্ভ স্লাইড, কিডস পুল, মাল্টি প্লে জোন এবং পরিবেশবান্ধব এবং সতেজ বাতাবরণে সময় কাটানোর জন্য প্রচুর সবুজতা রয়েছে ।
Park Entry Fee and Timr
Park operation time: 10.00 AM to 6.30 PM
PARK TICKET PRICE |
1 Entry + Dinosaur world + Tea Cup= 200Tk
2 Entry + Water Paradise+ Dinosaur world= 399Tk.
3 Entry + Dinosaur world+ 6 Ride=499tk
4 Entry + Water Paradise+ Dinosaur world+ 3 Dry Park Ride= 499Tk.
5 Entry+ Water Paradise Dinosaur world+6 Ride=699Tk
6 Family Package 2760Tk (04 Person)
Help line: 01714 130945 / 01714 130946.
নওয়াব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়িটি (Foyjunnesa Zamindar Bari) কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে অবস্থিত। তৎকালীন ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানি ১৮৭১ সালে এই জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন। ছোটখাটো কিন্তু বেশ চমৎকার সুন্দর বাড়িটি যার মূল বাড়িটি দক্ষিণমুখী। তার পশ্চিম-দক্ষিণ পাশে বৈঠকখানা। বাড়ির পশ্চিমপাশে রয়েছে মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান ও নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ। অনেকটা সময় সবুজের সান্নিধ্যে কাটানোর জন্য অনেক ভালো একটা জায়গা। দশ গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি ১৯০৩ সালে স্থাপিত, যেটা আসলেই চক্ষু শীতল করার মত।
ফয়জুন্নেসা চৌধুরানি ছিলেন সভ্রান্ত এক মুসলিম জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিয়ে করেন আরেক জমিদার গাজী চৌধুরীকে। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। আর ঐ বিবাহ বিচ্ছেদের সময় পাওয়া দেনমোহরের এক লক্ষ এক টাকা দিয়ে তিনি নিজে একটি বাড়ি তৈরি করেন। ঐসময় জমিদারীর প্রশিক্ষণ নেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সাফল্যের সাথে জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। তার জমিদারীর আওতায় প্রায় হোমনাবাদ পরগণার বর্তমান সময়ের কুমিল্লা জেলার মোট ১৪টি মৌজা ছিল। ১৪টি মৌজাতে রাজস্ব আদায়ের জন্য ১৪টি কাছারিঘর ছিল। তিনি ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী জমিদার। বিশেষ করে নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রে। তার জমিদারীর অধিকাংশ আয় এই নারী শিক্ষার পিছনে ব্যয় করতেন। তার এই সাহসী উদ্যোগ ও সাফল্যের কারণে তৎকালীন ব্রিটিশ রানী ভিক্টোরিয়া তাকে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে "নওয়াব" উপাধিতে ভূষিত করেন। যা পুরো ভারত উপমহাদেশে একমাত্র মহিলা হিসেবে তিনি এই উপাধি পান। তিনি ছিলেন একাধারে জমিদার, সমাজকর্মী, লেখিকা।
কিভাবে যাবেন:
লাকসাম বাসস্ট্যান্ড কিংবা লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুব সহজেই অটো কিংবা রিক্সা করে নওয়াব ফয়জুন্নেসা জমিদার বাড়ি পৌছানো যায়।
শালবন বৌদ্ধ বিহার বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম। কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে বার্ডের কাছে লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় এ বিহারটির অবস্থান। বিহারটির আশপাশে এক সময় শাল-গজারির ঘন বন ছিল বলে এ বিহারটির নামকরণ হয়েছিল শালবন বিহার। এ বিহারটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের মতো হলেও আকারে ছোট। ১৮৭৫ সালের শেষ দিকে বর্তমান কোটবাড়ি এলাকায় একটি সড়ক তৈরির সময় একটি ইমারতের ধ্বংশাবশেষ উন্মোচিত হয়ে পড়ে। সে সময় আবিষ্কৃত ধ্বংসাবশেষকে একটি দুর্গ বলে অনুমান করা হয়েছিল।
শালবন বিহারের ছয়টি নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ পর্বের কথা জানা যায়। আকারে চৌকো শালবন বিহারের প্রতিটি বাহু ১৬৭.৭ মিটার দীর্ঘ। বিহারের চার দিকের দেয়াল পাঁচ মিটার পুরু। কক্ষগুলো বিহারের চার দিকের বেষ্টনী দেয়াল পিঠ করে নির্মিত। বিহারে ঢোকা বা বের হওয়ার মাত্র একটাই পথ ছিল। এ পথ বা দরজাটি উত্তর ব্লকের ঠিক মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে। প্রতিটি কক্ষের মাঝে ১.৫ মিটার চওড়া দেয়াল রয়েছে। বিহারে সর্বমোট ১৫৫টি কক্ষ আছে।
টিকেট মুল্যঃ
বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ময়নামতি জাদুঘর ও শালবন বিহারের পৃথক ২০টাকা করে টিকেট।
কিভাবে যাওয়া যায়ঃ
ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত সড়ক পথের দূরত্ব মাত্র ২ ঘন্টা ৩০ মিনিটের। বাস সার্ভিসের দিক থেকে তিশা এবং এশিয়া লাইন এগিয়ে। যেকোন একটিতে চড়েই যেতে পারেন কুমিল্লার পথে। যারা চট্টগ্রাম থেকে আসতে চান তাদের জন্য প্রীন্স সৌদিয়া বাস ভালো হবে।
তবে মজার ব্যাপার হলো চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা যেতে বাস এর তুলনায় ট্রেনে সময় কমই লাগে, মাত্র ৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট। বাস এ সময় লাগে ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট এর মত।
কুমিল্লা এসে চলে যান টমছম ব্রীজ বাস স্ট্যান্ড এ। সেখানে সিএনজি স্ট্যান্ড পাবেন। আপনাকে সিএনজি ওয়ালা নামাবে কোটবাড়িতে। সেখান থেকে অটোরিকসা করে যেতে হবে শালবন বিহার।