Severity: Warning
Message: fopen(/var/cpanel/php/sessions/ea-php74/ci_session5fca6332eee2d688171b1064fe2da4a626772694): failed to open stream: No space left on device
Filename: drivers/Session_files_driver.php
Line Number: 176
Backtrace:
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/application/controllers/Frontend.php
Line: 7
Function: __construct
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/index.php
Line: 315
Function: require_once
Severity: Warning
Message: session_start(): Failed to read session data: user (path: /var/cpanel/php/sessions/ea-php74)
Filename: Session/Session.php
Line Number: 143
Backtrace:
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/application/controllers/Frontend.php
Line: 7
Function: __construct
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/index.php
Line: 315
Function: require_once
‘ধান- নদী -খাল এই তিনে বরিশাল' খ্যাত বরিশাল বিভাগের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। দক্ষিণ-পূর্ব বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তার কালে রাজা দনুজমর্দন কর্তৃক ‘চন্দ্রদ্বীপ' নামে এ স্বাধীন রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বরিশালের ইতিহাস:
সর্বশেষ আদমশুমারি (২০০১) অনুযায়ী বরিশাল বিভাগের বর্তমান জনসংখ্যা ৮১,১২,৪৩৫ জন এবং প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৬৩২। এ অঞ্চল ১৮০০ সাল পর্যন্ত হিন্দু অধ্যুষিত ছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসলমানদের আগমন, ধর্মান্তরিত কিছু মুসলমান এবং হিন্দুদের ব্যাপকহারে দেশ ত্যাগের ফলে মুসলমানদের সংখ্যাধিক্য ঘটে। তাছাডা নিম্ন বর্ণের হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত খৃস্টান সম্প্রদায়ের প্রায় ৫ হাজার জনগোষ্ঠী এ বিভাগে বসবাস করছে। এ অঞ্চলের অধিবাসীগণ এক ঐতিহ্যবাহী মানবগোষ্ঠীর বংশধর। বরিশালের কালেক্টর ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেনরী বেভারিজ ১৮৭৬ সনে তার The District of Bakerganj- It’s History and Statistics গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ‘‘বাকেরগঞ্জের অধিবাসী বাঙ্গালী চরিত্রের খাঁটি নিদর্শন’। এছাড়া বরিশালের ইতিহাস গ্রন্থে সিরাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন ‘বাঙ্গালী জাতির আদি বাসস্থান ছিল চন্দ্রদ্বীপ’। এখানকার কুলিনসমাজ ‘বাকলা সমাজ’ নামে খ্যাত ছিল। ৭ম শতকে এখানে সামন্ত প্রথা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তালুকদার জমিদারগণ সমাজে প্রথম শ্রেণী হিসেবে বিবেচিত হতেন। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাঁওতাল, গারো, হাজং, মগ ও চাকমাদের মতো বরিশাল অঞ্চলে ‘চন্দ্রভদ্র’ নামে এক জাতির বাস।
সবুজ পাহাড়, ঘন বন, শীতল জলবায়ু এবং প্রশস্ত বালুকাময় সমুদ্র সৈকত নিয়ে দক্ষিণ বাংলাদেশে অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগ দেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এটি এগারো জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুরে বিভক্ত। জলবিদ্যুতের একটি বড় সরবরাহকারী হিসাবে চট্টগ্রাম বিভাগ একটি গুরুত্বপূর্ণ কৃষি অঞ্চল চট্টগ্রাম শহরটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও শিল্পকেন্দ্র।
চট্টগ্রাম বিভাগের আকর্ষণীয় স্থানগুলি যা প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলে সেগুলির মধ্যে রয়েছে দ্রুত বয়ে যাওয়া কর্ণফুলী নদী সমুদ্রের মধ্যে ফাঁকা ফাঁকা সুন্দর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এবং মনোরম নির্মিত ফয়েসের হ্রদ এবং এর প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুল - একটি প্রিয় পিকনিক স্থানীয় এবং দর্শনার্থীদের সাথে স্পট। কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হিসাবে খ্যাতিযুক্ত, অন্যদিকে বান্দরবান অপ্রত্যাশিত গ্রামীণ সৌন্দর্য উপস্থাপন করে।
চট্টগ্রাম বিভাগ এর জনপ্রিয় শহর/ভ্রমনস্পট: চট্টগ্রাম বিভাগ এর জনপ্রিয় শহর/ভ্রমনস্পট:
১. কক্সবাজার, ২. সেন্টমার্টিন, ৩. বান্দরবান, ৪. রাঙ্গামাটি, ৫. খাগড়াছড়ি, ৬. সাজেক, ৭. কুমিল্লা, ৮. টেকনাফ, ৯. মহেশখালী, ১০. বাঁশখালী, ১১. সীতাকুন্ড, ১২. পতেঙ্গা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের আটটি প্রশাসনিক বিভাগের হিসাবে ঢাকা একটি বিভাগ। ঢাকা বিভাগ ১৭ টি জেলা নিয়ে গঠিত। ঢাকা বিভাগের মধ্যেই বাংলাদেশের রাজধানী অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বাধিক জনবহুল শহর হিসাবে ঢাকাকে তুলে ধরা হয়। বাণিজ্যিক, শিল্প, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের কেন্দ্র এই ঢাকা শহর।
ঢাকা বিভাগ ঘুরে দেখার মতো ঢাকা জেলায় দর্শনীয় জায়গাগুলির মধ্যে রয়েছে:
১. লাল ব্যাগ দুর্গ, ২. আহসান মনজিল, ৩. কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ৪. জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ৫. জাতীয় যাদুঘর, ৬. জাতীয় সংসদ ভবন,
৭. সোনারগাঁও, ৮. রমনা পার্ক, ৯. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ১০. বায়তুল মোকারম।
ঢাকা বিভাগে ১৪টি আকর্ষণীয় জেলা রয়েছে:
১. ঢাকা, ২. ফরিদপুর, ৩. গাজীপুর, ৪. গোপালগঞ্জ, ৫. কিশোরগঞ্জ, ৬. মাদারীপুর, ৭. মানিকগঞ্জ, ৮. মুন্সিগঞ্জ, ৯. নারায়ণগঞ্জ, ১০. নরসিংদী,
১১. রাজবাড়ী, ১২. সাভার, ১৩. শরীয়তপুর, ১৪. টাঙ্গাইল।
খুলনা বিভাগ বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে একটি এবং এটি দেশের দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুয়ায়ী, বিভাগটির আয়তন ২২,২৮৫ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যা ১৫,৫৬৩,০০০ জন। খুলনা বিভাগের সদর দপ্তর খুলনা শহর। ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পরে বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর। খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে রূপসা নদী এবং ভৈরব নদীর তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রাচীনতম নদী বন্দরগুলোর মধ্যে খুলনা অন্যতম। খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম শিল্প ও বাণিজ্যিক এলাকা হওয়ায় খুলনা শহরকে শিল্প নগরী হিসেবে ডাকা হয়। খুলনা শহর থেকে ৪৮ কি.মি. দূরে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। পৃথিবী বিখ্যাত উপকূলীয় বন সুন্দরবন খুলনা বিভাগের দক্ষিণাংশে অবস্থিত। খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবনের বিস্তৃতি ঘটেছে। খুলনাকে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার বলা হয়। করা যায়। ১৯১২ সালে থেকে অত্র অঞ্চলে নদীপথে স্টিমার (স্টিমবোট) চলাচল করে।
খুলনার দর্শনীয় স্থান:
১. খুলনা বিভাগীয় যাদুঘর, ২. খানজাহান আলী সেতু, ৩. জাহানাবাদ বনবিলাস চিড়িয়াখানা ও শিশু উদ্যান,
৪. শহীদ হাদিস পার্ক ইউএন পার্ক
*গাল্লামারি গণহত্যা ও স্মৃতিসৌধ
*বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি
*সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব:
১. খান জাহান আলী
২. সাহিত্যিক আনিস সিদ্দিকী
৩. মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন
৪. পন্যাসিক কাজী আকরাম হোসেন
৫. অভিনেত্রী মৌসুমী
৬. অভিনেত্রী পপি
৭. ক্রিকেটার শেখ সালাহউদ্দিন
৮. ক্রিকেটার আবদুর রাজ্জাক
৯. রুমানা আহমেদ একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার
১০. জাহানারা আলম একজন বাংলাদেশী মহিলা ক্রিকেটার
১১. মেহেদী হাসান মিরাজ একজন ক্রিকেটার
শত শত লিচু ও আমের বাগান এবং অন্যান্য কৃষিপণ্য যেমন গাজর, মাংস এবং আলু রাজশাহী বিভাগের চিত্রাঞ্চলীয় গ্রামাঞ্চল এবং অর্থনীতির একটি অংশ তৈরি করে। যমুনা ও পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত, এই বিভাগটি উর্বর জমি এবং বিস্ময়কর গন্তব্যগুলির জন্য পরিচিত, এটি পর্যটকদের অন্বেষণের জন্য এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অঞ্চল হিসাবে তৈরি করেছে। রাজশাহী বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি এবং আয়তন ১৮,১৫৪ বর্গ কিলোমিটার। রাজশাহী বিভাগ আটটি জেলা, ৬৬টি উপজেলা, ৫৯টি পৌরসভার এবং ৫৬৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। রাজশাহী, বগুড়া,পাবনা এবং সিরাজগঞ্জ রাজশাহী বিভাগের চারটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র এবং বড় শহর। নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট প্রধান কৃষি এলাকা। রাজশাহী হল এ বিভাগের রাজধানী।
দর্শনীয় স্থানসমূহ:
রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব থেকেই অর্থাৎ, পাকিস্তান আমল থেকেই বৃহত্তর রংপুর ও বৃহত্তর দিনাজপুর ছিল রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত।
পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ২০১০ সালে ২৫ জানুয়ারি বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুরের আটটি জেলা, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, রংপুর ও লালমনিরহাট নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ রংপুর গঠিত হয়।
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা:
তিস্তা ব্যারেজ
কারমাইকেল কলেজ
তাজহাট রাজবাড়ি
ভিন্নজগত পার্ক
রংপুর চিড়িয়াখানা
পায়রাবন্দ
ঘাঘট প্রয়াস পার্ক
চিকলি বিল ও পার্ক
হাতী বান্ধা মাজার শরীফ
কেরামতিয়া মসজিদ ও মাজার
টাউন হল
শ্বাশত বাংলা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
দেওয়ানবাড়ি জমিদার বাড়ি
সিলেট বিভাগ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল, যা সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ — এই চারটি জেলা নিয়ে গঠিত। প্রাচীনকালে এটি শ্রীহট্টের কেন্দ্রীয় প্রদেশ ছিল।
বাংলাদেশের সর্বাধিক মনোরম ও প্রত্নতাত্ত্বিক সমৃদ্ধ অঞ্চল হ'ল সিলেট বিভাগ। এর অর্থনৈতিক শিল্পগুলি এই অঞ্চলে আকর্ষণগুলির অংশ হয়ে উঠেছে, কারণ আনারস উদ্যানগুলি এবং দমকে থাকা চা বাগানে ভরা। পর্যটকদের জন্য, এই অঞ্চলের ব্যবসায়ের সুযোগগুলি পিছনে আসন নেয় কারণ তারা বিভাগ এবং এর অনন্য বাসিন্দাদের সৌন্দর্য এবং সংস্কৃতিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলে।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব থেকেই সাবেক সিলেট জেলা ছিল চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত। পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট চারটি জেলা নিয়ে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বিভাগ সিলেট গঠিত হয়।এই বিভাগের মোট আয়তন ১২,৫৯৫.৯৫ বর্গ কিলোমিটার। সিলেট বিভাগ শিল্প শিল্পদ্রব্য (সার, সিমেন্ট, সিলেট পাল্পস এন্ড পেপার মিলস,ছাতক, বিদ্যুৎ), প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ (গ্যাস, তেল, পাথর, চুনাপাথর) ইত্যাদিতে ভরপুর। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ বিভাগের ভূমিকা অপরিসীম।
দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা:
ময়মনসিংহ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সমূহের মধ্যে রয়েছে, শশী লজ, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, মুক্তাগাছা জমিদার বাড়ি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদী, ময়মনসিংহ জাদুঘর, সিলভার প্যালেস, রামগোপালপুর জমিদার বাড়ি, বোটানিক্যাল গার্ডেন, ময়মনসিংহ টাউন হল, দুর্গাবাড়ী, গৌরীপুর রাজবাড়ী, কুমির খামার, গারো পাহাড় ইত্যাদি।