হিমছড়ি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থিত হিমছড়ি পর্যটন কেন্দ্র। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে এ সমুদ্র সৈকতের নাম হিমছড়ি। এখানকার সমুদ্র সৈকতটি কক্সবাজারের চেয়ে অপেক্ষাকৃত নির্জন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। এর সৌন্দর্যও কোনো অংশে কম নয়। সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো হিমছড়ি যত না সুন্দর তারচাইতে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর হল কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার পথটি। এক কথায় অসাধারন, কাব্যক, স্বপ্নের মত মত সুন্দর। একপাশে বিস্তৃর্ন সমুদ্রের বালুকা বেলা আর এক পাশে সবুজ পাহাড়ের সাড়ি। মাঝে পিচ ঢালা মেরিন ড্রাইভ। এমন দৃশ্য সম্ভবত দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
কেউ কক্সবাজার এলো অথচএই পথ ধরে ছুটলো না তার পুরো ভ্রমনই মাটি। পাহাড়ে উঠলে চোখের সামনে ভাসবে নীল দিগন্তে হারিয়ে যাওয়া বিশাল সমুদ্র। হিমছড়ির পাহাড়ের হিমশীতল ঝরনা গুলো বেশ আকর্ষণীয়। ছোট ছোট ঝর্না আপন মনে ঝরে পরছে পাহাড়ের গায়ে ছূটে যাচ্ছে সাগরের দিকে।
টিকেট মূল্যঃ
হিমছড়ি ইকোপার্কে প্রবেশের জন্য ২০/- টাকার টিকেট কাটতে হবে।
ইনানী সমুদ্র সৈকত বঙ্গোপসাগরের একটি উপকূলভূমি যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে একটি পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। কক্সবাজার জেলার পর্যটন সেক্টরে ইমারজিং টাইগার হচ্ছে ইনানী। বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইনানী প্রবালগঠিত সমুদ্রসৈকত।পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের এক অপূর্ব জায়গাটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয়।
কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ একশো বিশ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইনানী সৈকত।
The Mermaid Beach Resort (MBR) is an integrated resort, located in Pechar Dwip, beside the beach near Cox's BazarTekhnaf Marrine Drive, at Himchari, Cox's Bazar, Bangladesh. It offers easy access to a secluded beach. In 2015, the resort has been received Certificate of Excellence award honors for their hospitality businesses that consistently achieve outstanding reviews on Trip Advisor.
There are two restaurants at the Resort, one café special for Italian food and another restaurant offers world cuisine
রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড (Radiant Fish World) পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত একটি ফিস অ্যাকুরিয়াম (Aquarium) এবং ফিশ মিউজিয়াম। এ্যাকুরিয়াম কমপ্লেক্সে আছে সাগর ও মিঠা পানির প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ। বিরল প্রজাতির মাছ সহ এখানে আছে হাঙ্গর, পিরানহা, শাপলাপাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়া, সামুদ্রিক শৈল, পিতম্বরী, সাগর কুঁচিয়া, বোল, জেলিফিস, চেওয়া, পাঙ্গাস, আউস সহ আরও অনেক মাছ ও জলজ প্রাণী। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পুকুর ও সাগরের তলদেশের বৈচিত্রময় পরিবেশ। ভেতরের সুন্দর ডেকোরেশন অ্যাকুরিয়ামটিকে আরও নান্দনিক করে তুলেছে। অ্যাাকুরিয়ামে ঢুকলে মনে হবে আপনি সাগরের তলদেশে আছে, আর আপনার চারপাশে খেলা করছে বর্ণিল প্রজাতির নানা মাছ ও সামুদ্রিক প্রাণী। ইচ্ছে করলে দেখতে পারবেন থ্রিডি শো। পুরো অ্যাকুরিয়ামটি ভালো করে ঘুরে দেখতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘন্টা।
প্রবেশ ফী:
এই ফিশ ওয়ার্ল্ডে প্রবেশের জন্যে ফি ৩০০ টাকা। এছাড়া থ্রিডি শো এর টিকেট মূল্য ৫০ টাকা। সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্যে খোলা থাকে।
লাবনি বিচ কক্সবাজারে অবস্থিত। লাবনি বিচ বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী রিসর্ট শহর কক্সবাজারের একটি প্রধান পর্যটক আকর্ষণ, এখানে দর্শণার্থীরা সহজেই বঙ্গোপসাগরের আকর্ষণীয় সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে।
কক্সবাজারের প্রাচীনতম সৈকত অঞ্চল এবং নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ (Saint Martin's Island), বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসগিরের উত্তর-পূর্বাংশ অবস্থিত একটি প্রবাল দ্বীপ। সেন্টমার্টিন দ্বীপটি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মায়ানমার-এর উপকূল হতে ৮ কিলোমিটর পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। প্রচুর নারিকেল পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপটি একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন মৌসুমে এখানে প্রতিদিন ৫টি লঞ্ঝ বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড হতে আসা যাওয়া করে। সেন্টমার্টিনের আসল মজা একরাত না থাকলে উপভোগ করা সম্ভব নয়। আরো ভালো হয় দুইরাত থাকলে। সেক্ষেত্রে ১টা দিন ছেড়া দ্বীপের জন্য, আরেকটা দিন সেন্টমার্টিনের জন্য বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। প্রতিদিনের পর্যটকরা বিকালের মধ্যেই ফিরে যায়, তাই বিকেলের পর থেকে দ্বীপে ঘুরে বেরানোর মজাই আলাদা। আর যদি ভরা পূর্ণিমায় যেতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই, রাতের বেলা সেন্ট মার্টিন'স দ্বীপে ঘুরে বাড়াবেন আর বাঁচার ইচ্ছেটা বাড়িয়ে নিবেন।
সেন্টমার্টিনে সাইকেল ভাড়া কত?
দ্বীপের কয়েক জায়গা বিশেষ করে পশ্চিম বীচ থেকে সাইকেল ভাড়া নেওয়া যায় ঘন্টা প্রতি ৬০-৮০ টাকায়। বীচ ধরে ঘুরতে পারবেন মনের সাধ মিটিয়ে।
সেন্টমার্টিন যাওয়ার উপায়ঃ
ঢাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টার থেকে ঢাকা কক্সবাজার ও টেকনাফ যাওয়ার বাস পাবেন। আমাদের অফিসিয়াল ট্রান্সপোর্ট গিয়ে আপনি ঢাকা টু টেকনাফ যে সকল বাস আছে সেগুলোর জন প্রতি ভাড়া সহ বিস্তারিত সকল কিছু যাতে পারবেন।
টেকনাফ জাহাজ ঘাটে গিয়ে আপনাকে সী ট্রাকের/ শীপের টিকেট কাটতে হবে। টেকনাফ হতে সেন্টমার্টিনের দুরত্ব ৯ কিমি। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে যেতে হয় এখানে। শীত মৌসুমে সাগর শান্ত থাকে তাই এই সময় এখানে যাওয়া অনেক বেশি নিরাপদ। এই পর্যটন মৌসুমে এখানে টেকনাফ হতে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত গ্রীন লাইনের ওয়াটার বাস, এল সি কুতুবদিয়া, কাজল, কেয়ারী সিন্দবাদ সহ বেশ কয়েকটি জাহাজ বা সী-ট্রাক চলাচল করে। সকার ১০টায় এই নৌযানটি সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং বিকাল ৩টায় ফিরে আসে।
সেন্টমার্টিন ঘুরতে যাওয়ার জন্যে কিছু টিপস