Severity: Warning
Message: fopen(/var/cpanel/php/sessions/ea-php74/ci_sessionf43da48c2435ca5e712bf1cc908a23d91c142655): failed to open stream: No space left on device
Filename: drivers/Session_files_driver.php
Line Number: 176
Backtrace:
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/application/controllers/Frontend.php
Line: 7
Function: __construct
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/index.php
Line: 315
Function: require_once
Severity: Warning
Message: session_start(): Failed to read session data: user (path: /var/cpanel/php/sessions/ea-php74)
Filename: Session/Session.php
Line Number: 143
Backtrace:
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/application/controllers/Frontend.php
Line: 7
Function: __construct
File: /home/cyberdynebd/public_html/travelex/index.php
Line: 315
Function: require_once
State-owned 1,200 years old Hindu temple built by one Mangat Ray, who was also known as Ballalasena, younger brother of Arakanese king Shri Sudharma, son of famous Arakanese king Raja Malhana alias Husen Shah. This is the center of the Hindu religion in Dhaka.
লালবাগ কেল্লা মোঘল আমলের বাংলাদেশের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন যাতে একই সাথে ব্যবহার করা হয়েছে কষ্টি পাথর, মার্বেল পাথর আর নানান রঙবেরঙের টালি। লালবাগ কেল্লা ছাড়া আর বাংলাদেশের আর কোন ঐতিহাসিক নিদর্শনে এমন কিছুর সংমিশ্রণ পাওয়া যায়নি আজ পর্যন্ত। প্রায় প্রতিদিন হাজারো দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীর পদচারণয় মুখরিত হয় ঢাকার লালবাগ এলাকার এই দুর্গটি।
দেখার মত যা যা রয়েছেঃ
লালবাগ কেল্লার তিনটি বিশাল দরজার মধ্যে যে দরজাটি বর্তমানে জনসাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করে দেয়া সেই দরজা দিয়ে ঢুকলে বরাবর সোজা চোখে পড়ে পরী বিবির সমাধি। সচরাচর টেলিভিশনে, খবরের কাগজে, ম্যাগাজিনে লালবাগ কেল্লার যে ছবিটি দেখা যায় সেটা মূলতঃ পরী বিবির সমাধির ছবি।
কেল্লার চত্বরে তিনটি স্থাপনা রয়েছে-
১। কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা
২। পরীবিবির সমাধি
৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ
কেল্লাতে একটি মসজিদ আছে, আজম শাহ দিল্লি চলে যাওয়ার আগেই তিনি এই মসজিদটি তৈরি করে গিয়েছিলেন। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি যে কারো দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম। মসজিদটিতে জামায়াতে নামায আদায় করা হয়। ঢাকায় এতো পুরনো মসজিদ খুব কমই আছে।
লালবাগ কেল্লাতে এখানে ওখানে বেশ কয়েকটি ফোয়ারার দেখা মিলবে, যা শুধুমাত্র কোনো বিশেষ দিনে চালু থাকে। কেল্লাতে সুরঙ্গ পথ ও আছে, লোক মুখে শোনা যায় যে আগে নাকি সুরঙ্গ পথগুলোতে যাওয়া যেতো, তবে এখন আর যাওয়া যায়না। উল্লেখ্য সুরঙ্গ পথ এ যাওয়ার কথাটি নিতান্তই শোনা কথা, এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
লালবাগ কেল্লায় সর্বসাধারণের দেখার জন্যে একটি জাদুঘর রয়েছে, যা পূর্বে নবাব শায়েস্তা খাঁ এর বাসভবন ছিল আর এখান থেকেই তিনি সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। জাদুঘরটিতে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। মুঘল আমলের বিভিন্ন হাতে আঁকা ছবির দেখা মিলবে সেখানে, যেগুলো দেখলে যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। শায়েস্তা খাঁ এর ব্যবহার্য নানান জিনিসপত্র সেখানে সযত্নে রয়েছে। তাছাড়া তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, পোশাক, সেসময়কার প্রচলিত মুদ্রা ইত্যাদিও রয়েছে।
আহসান মঞ্জিলে:
মন মাতানো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজে যেন নব যৌবন ফিরে পায়। বাতাসে ফুলের সুবাস, সামনে প্রাচীন প্রাসাদমুহুর্তেই নিয়ে যায় কোনো এক কল্পনার রাজ্যে। প্রেয়সীর হাত ধরে মৃদু পায়ে হেঁটে চলা। এভাবেই সপ্তাহের ৬ দিনই প্রাণের স্পন্দন জাগে আহসান মঞ্জিলে।
প্রকৃতি ছেড়ে এবার প্রাসাদের দিকে যাওয়া যাক। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে তখনকার জামালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ রংমহল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর জমিদারের ছেলে শেখ মতিউল্লাহ এটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করেন।
১৮৩৫ সালের দিকে বেগমবাজারে বসবাসকারী নবাব আবদুল গনির বাবা খাজা আলীমুল্লাহ এটা কিনে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৭২ সালে নবাব আবদুল গনি নতুন করে নির্মাণ করে তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ভবনের নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।
এটি একটি দোতলা ভবন। বারান্দা ও মেঝে মার্বেল পাথরে তৈরি। প্রতিটি কক্ষের আকৃতি অষ্টকোণ। প্রাসাদের ভেতরটা দুভাগে বিভক্ত। পূর্বদিকে বড় খাবার ঘর। উত্তরদিকে লাইব্রেরি। পশ্চিমে জলসাঘর। পুরো ভবনের ছাদ কাঠের তৈরি। নিচতলায় খেলার ঘরে রয়েছে বিলিয়ার্ড খেলার জন্য আলাদা জায়গা। দরবার হলটি সাদা, সবুজ ও হলুদ পাথরের তৈরি। দোতলায় বৈঠকখানা, গ্রন্থাগার আর তিনটি মেহমান কক্ষ। পশ্চিম দিকে আছে নাচঘর আর কয়েকটি আবাসিক কক্ষ।
এই ভবনটি ১৮৮৮ সালে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ও ১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আহসান মঞ্জিলই ঢাকার প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য। যেখানে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা হয় নবাবদের হাতে। মঞ্জিলের স্থাপত্যশৈলী পশ্চিমাদের সবসময়ই আকৃষ্ট করত। লর্ড কার্জন ঢাকায় এলে এখানেই থাকতেন। বাংলাদেশ সরকার আহসান মনঞ্জিলকে জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করে। ১৯৯২ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে এখন পর্যন্ত সংগৃহীত নিদর্শন সংখ্যা ৪ হাজার ৭৭। এই রংমহলের ৩১টি কক্ষের মধ্যে ২৩টিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ১৯০৪ সালের আলোকচিত্রশিল্পী ফ্রিৎজকাপের তোলা ছবি অনুযায়ী ৯টি কক্ষ সাজানো হয়েছে।
আহসান মঞ্জিল জাদুঘরের পরিচিতি:
গ্যালারি ১ : এখানে আহসান মঞ্জিলের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি, আলোকচিত্র ও চিত্রকর্মের সাহায্যে তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও আছে ভবনের একটি মডেল।
গ্যালারি ২ : বিভিন্ন সময়ে ভবনের যে বিবর্তণ হয়েছে তা আলোকচিত্রের সাহায্যে প্রদর্শন করা হয়েছে এখানে। এছাড়াও আছে কাটগ্লাস ও ঝাড়বাতির নমুনা।
গ্যালারি ৩ : নবাবদের আনুষ্ঠানিক ভোজন কক্ষ। এখানে প্রদর্শিত হয়েছে আলমারি, আয়না, কাচ ও চিনামাটির তৈজসপত্র। সবই আহসান মঞ্জিল থেকে প্রাপ্ত নির্দশন।
গ্যালারি ৪ : বড় কাঠের সিঁড়ি। হাতির মাথার কঙ্কাল, ঢাল-তলোয়ার। কাঠের বেড়ার মূল নির্দশন।
গ্যালারি ৫ : আসল ঢাল-তলোয়ারের অনুরূপে সাজানো।
গ্যালারি ৬ : আহসানুল্লাহ মেমোরিয়াল হাসপাতালের বেশকিছু ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি ও খাতাপত্র এই কক্ষে প্রদর্শিত হয়েছে।
গ্যালারি ৭ : এই বড় কক্ষটি নবাবদের দরবার হল হিসেবে ব্যবহৃত হত। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠনের সময় শাহবাগের সম্মেলন আসা সর্বভারতীয় মুসলিম নেতাদের তৈলচিত্র এই গ্যালারিতে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও আছে ঢাকার নবাবকে ইতালি থেকে দেওয়া একটি অষ্টকোণ টেবিল।
গ্যালারি ৮ : অ্যাডওয়ার্ড হাউজ থেকে সংগৃহীত জীবজন্তুর শিং। এছাড়া সেই সময়ে ঘরের বাইরে ও ভেতরে খেলার সরঞ্জাম সাজিয়ে রাখা হয়েছে।
গ্যালারি ৯ : বড় লোহার সিন্দুকসহ অন্যান্য সিন্দুক ও কাঠের আলমারিগুলো নবাবদের আমলের নিদর্শন।
গ্যালারি ১০ : এখানে আছে বড় বড় আলমারি, তৈজসপত্র যা নবাবের আমলের নিদর্শন।
গ্যালারি ১১, ১২ ও ১৩ : এই গ্যালারিগুলোতে যথাক্রমে বরেণ্য ব্যক্তিদের প্রতিকৃতি, স্যার সলিমুল্লাহ স্মরণে এবং নবাবদের সমসাময়িক মনীষীদের প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে।
গ্যালারি ১৪, ১৫, ১৬, ১৭ : যথাক্রমে হিন্দুস্থানি কক্ষ, প্রধান সিঁড়িঘর, লাইব্রেরি কক্ষ ও তাসখেলার ঘর।
গ্যালারি ১৮ ও ১৯ : ঢাকায় পানীয় জল সরবরাহবিষয়ক নিদর্শন যেসব আহসান মঞ্জিল ও অ্যাডওয়ার্ডস হাউজে পাওয়া গেছে। ঢাকা ওয়াটার ওয়ার্কের কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য ছবি এখানে আছে।
সবকটি গ্যালারি ঘুরে পাশেই নবাববাড়ির পুকুর দেখে আসা যাবে।
পুরাতন ঢাকার লালবাগে লালবাগ কেল্লা অবস্থিত। সম্রাট আওরঙ্গজেব তার শাসনামলে লালবাগ কেল্লা নির্মাণের ব্যবস্থা করেন। সম্রাট আওরঙ্গজেবের পুত্র যুবরাজ শাহজাদা আজম ১৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এই প্রাসাদ দূর্গের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। তৎকালীন লালবাগ কেল্লার নামকরণ করা হয় আওরঙ্গবাদ কেল্লা বা আওরঙ্গবাদ দূর্গ। পরবর্তীতে সুবাদার শায়েস্তা খাঁনের শাসনামলে ১৬৮৪ খিষ্টাব্দে নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দূর্গটি পরিত্যাক্ত হয়। সে সময়ে নতুন ভাবে আওরঙ্গবাদ কেল্লা বাদ দিয়ে লালবাগ কেল্লা নামকরণ করা হয়। যা বর্তমানে প্রচলিত।
লালবাগ কেল্লায় সবচাইতে আকর্ষণীয় এবং দর্শনীয় যে জিনিসটি আছে তা হল সুবেদার শায়েস্তা খাঁনের বাসভবন ও দরবার হল। বর্তমানে যা লালবাগ কেল্লা জাদুঘর হিসেবে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। লালবাগ কেল্লায় মোট তিনটি ফটক আছে যার মধ্যে দুইটি বর্তমানে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভেতরে প্রবেশ করলেই বাগান ঘেরা পরিবেশ দর্শনার্থীদের মনে আনন্দ দেয়। সোজা একটু ভেতরেই শায়েস্তা খাঁনের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি সৌধ।
দর্শনীয় জিনিসগুলোর মধ্যে লালবাগ কেল্লা মসজিদ, সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র শাহজাদা আজম বাংলার সুবাদার থাকাকালীন এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ১৬৭৮-৭৯ খ্রিষ্টাব্দে। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এদেশের প্রচলিত মুঘল মসজিদের একটি আদর্শ উদাহরণ। বর্তমানেও মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে।
লালবাগ কেল্লা যাওয়ার উপায়:
লালবাগ কেল্লায় যেতে হলে, গুলিস্তান গোলাপ শাহ্ এর মাজার থেকে টেম্পু করে কম টাকায় যাওয়া যাবে। এছাড়াও নিউমার্কেট কিংবা গুলিস্তান এলাকা থেকে সরাসরি রিক্সায় যাওয়া যায় লালবাগ কেল্লায়। আর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বিশেষ বাস সার্ভিস রয়েছে লালবাগ কেল্লা পরিদর্শনে আগ্রহীদের জন্য।
টিকেট মূল্য:
কেল্লার মূল ফটকের বাইরে দু’পাশে দু’টি কাউন্টার আছে। ৫ বছর বয়সের নীচে বাচ্চাদের জন্য কোন টিকেট লাগবেনা। এছাড়া সবার জন্য প্রযোজ্য।
দেশী পর্যটক ও দর্শনার্থী = ১০.০০ টাকা জনপ্রতি। বিদেশী পর্যটক ও দর্শনার্থী = ১০০.০০ টাকা জনপ্রতি।